জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকা, পলায়ন ও ফোন কল লিস্টের তথ্য প্রকাশ।

বায়দুল কাদেরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। অনেকেই দাবি করেছেন যে, ওবায়দুল কাদের এই আন্দোলনের সময় সরকারের পক্ষে কাজ করে গিয়েছিলেন। আন্দোলন শেষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে, তিনি এবং দলীয় অন্যান্য নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তখন তাকে পলাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
পলায়নের সময় বিলাসবহুল জীবনযাপন:
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়, ওবায়দুল কাদেরের বিলাসবহুল জীবনযাপনের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। একদিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে নায়িকা ও মডেলদের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন উঠেছিল। এসব বিষয়ে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, যা তার চরিত্র এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
ফোন কল লিস্ট:
৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, ওবায়দুল কাদেরের ফোন লোকেশন মোহাম্মদপুরে পাওয়া যায়। এরপর তার কল লিস্ট সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা অনেকেই লক্ষ্য করেছেন। কল লিস্টে বিভিন্ন মডেল, নায়িকা, অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদের সাথে তার যোগাযোগের তথ্য উঠে আসে। এই তালিকায় জনপ্রিয় নায়িকা কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যাঞ্জেনা, এলিনসহ আরও অনেক নাম রয়েছে।

এছাড়াও, ময়মনসিংহের একজন নেত্রীর সাথে তার যোগাযোগের তথ্যও পাওয়া গেছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৫ আগস্ট নায়িকা সোহানা সাবাস এবং প্রয়াত নায়িকা মেঘলার সাথেও একাধিকবার যোগাযোগ করেছিলেন।
কল লিস্টের সত্যতা এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার:
ওবায়দুল কাদেরের কল লিস্টের কিছু অংশ প্রবাসী সাংবাদিক যাওয়ার নির্ঝর প্রকাশ করেন, এবং এটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে, এই কল লিস্টের সত্যতা নিশ্চিত করতে কোনও সরকারী পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। শেখ ফরিদ, ATN নিউজের পক্ষ থেকে জানান, কল লিস্টের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, তার পলায়ন, এবং কল লিস্টের বিষয়টি বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য নিয়ে এখনও বিভিন্ন মতামত রয়েছে, তবে এর সত্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়া এখনও চলছে।