হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় পৌঁছেছে শিশু আছিয়ার মরদেহ। এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ, জানাজার সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি। নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।

হেলিকপ্টারে করে আনা হলো আছিয়ার মরদেহ
ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় আনা হয়েছে শিশু আছিয়ার মরদেহ। পরে তাকে শ্রীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মাগুরার স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করলে সেখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, কফিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জানাজার সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি
হেলিকপ্টারের অবতরণের সময় পুরো এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মাঠে অবস্থান নেয় এবং স্টেডিয়ামে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়।
উল্লেখ্য, আছিয়া ৮ তারিখে চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এবং আজ দুপুর ১টার দিকে সে মারা যায়।
আছিয়ার মৃত্যুর পূর্বের ঘটনা
মাত্র এক মাস আগে আছিয়া বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। কিন্তু ৬ তারিখ মধ্যরাতে তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়।
গ্রামে শোকের ছায়া, মায়ের কান্না থামছে না
আছিয়ার মরদেহ পৌঁছানোর খবরে পুরো মাগুরা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
আছিয়ার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন এবং তার কান্নার শব্দে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, গ্রামবাসীদের ঢল
হেলিকপ্টার থেকে মরদেহ নামানোর পর কফিনে রাখা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটির শেষ বিদায়ের জন্য শ্রীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এলাকাবাসী দলে দলে সেখানে উপস্থিত হয়ে শিশুটির বিদেহী আত্মার জন্য প্রার্থনা করছেন।