ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শুক্রবার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

শতভাগ টিকিটই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এবং কাউন্টারে কোন ভিড় নেই। অনলাইন সিস্টেমের সুবিধা সত্ত্বেও, অনেকেই কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই অনলাইন ব্যবহার করতে অপারগ বলে জানিয়েছেন, বিশেষ করে যাদের মোবাইল ফোন নেই বা অনলাইন ব্যবহারে অভিজ্ঞতা নেই।
রেল কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি ও টিকিট চাহিদা
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৩ টি আন্তঃনগর ট্রেনের সাথে অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালু করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত বগি যুক্ত করা হবে। যদিও ৬ লাখের বেশি টিকিটের চাহিদা আছে, রেলের সক্ষমতা মাত্র ৫৫,০০০। ৫৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ যাত্রী পরিবহনের ক্ষমতা থাকায় ৬ লাখ যাত্রীদের সকলকে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ট্রেন ও বগি যোগ করার পাশাপাশি টিকিট চেকিং কঠোর করা হবে।
টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে ব্যবস্থা
কালোবাজারি প্রতিরোধে এনআইডি’র সাথে টিকিটের তথ্য মিলানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শতভাগ অনলাইন সিস্টেমের লক্ষ্য যাতে যাত্রীরা নিজের এনআইডি দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারে। টিকিট চেকিং কয়েক স্তরে করা হচ্ছে: প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময়, এবং ট্রেনে উঠার সময়। প্রথম দুই ঘন্টায় ৮৫% টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আলিমুজ্জামান সাফওয়ান জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।